শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা
তৈমুর খান এর দু’টি কবিতা
তৈমুর খান এর দুটি কবিতা
একটা নীল মেঘ পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে
এসো, গড়িয়ে যাই
ভোর হয়ে গেছে কবে
আমাদের আলোগুলি জলে জলে ছড়িয়ে দিয়েছি
মনোরম জল আজ
ভাঙা ও ধূসর মনের হ্রদগুলি জুড়ে বয়ে যাক
প্রশান্তির হাঁসগুলি ঝাঁক ঝাঁক নেমে এসেছে
আজ কোথাও ক্লান্তি নেই
সব গাছ ক্লান্তি রঙের ফুল ঝরিয়ে দিয়েছে
এক একটি হাত বৃহৎ হাত হয়ে ডেকে নিচ্ছে আমাদের
পাহাড়ি কন্যাদের ঘুঙুর বেজে উঠছে ঘন ঘন
চলো, গড়িয়ে যাই
নবজাগরণের দেশে একটা নীল মেঘ
পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে
আমাদের চরিত্ররা
এই ধূসর স্টেশনে সমস্ত কষ্টগুলি ভাগ করে নিচ্ছি
কষ্টের রেখাচিত্রগুলি আমাদের মুখের উপর
এঁকে দিচ্ছেন কোনও শিল্পী
আমরা আবছা অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকছি
খুব সূক্ষ্ম দু‘একটা পাখি উড়ে আসছে আশার ব্যঞ্জনার মতো
আমরা তা দিয়েই আমাদের অন্ধকার ব্ল্যাকবোর্ড মুছে নিচ্ছি
আমাদের ভাগফলগুলি বেঁচেথাকার অঙ্ক
আমাদের শুষ্ক নদীগুলি ভবিষ্যতের শিল্পকারখানার সম্ভাবনা
একটা ভূখণ্ড তার জনসংখ্যা, তার বিষাদ, তার স্বপ্ন, তার জাগরণ থেকে
আমাদের চরিত্ররা নতুন পোশাক পরে নিচ্ছে আর
বিনয়ী হয়ে উঠছে ক্রমশ ভবিষ্যতের দিকে
তৈমুর খান: জন্ম ২৮ জানুয়ারি ১৯৬৭, বীরভূম জেলার রামপুরহাট ব্লকের পানিসাইল গ্রামে। পিতা ও মাতা :জিকির খান ও নাওরাতুন। পড়াশোনা :বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি এবং প্রেমেন্দ্র মিত্রের কবিতা নিয়ে পি এইচ ডি প্রাপ্তি। পেশা : উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক ।
প্রকাশিত কাব্য : কোথায় পা রাখি (১৯৯৪), বৃষ্টিতরু (১৯৯৯), খা শূন্য আমাকে খা (২০০৩), আয়নার ভেতর তু যন্ত্রণা (২০০৪), বিষাদের লেখা কবিতা (২০০৪), একটা সাপ আর কুয়াশার সংলাপ (২০০৭), জ্বরের তাঁবুর নীচে বসন্তের ডাকঘর (২০০৮), প্রত্নচরিত (২০১১), নির্বাচিত কবিতা (২০১৬), জ্যোৎস্নায় সারারাত খেলে হিরণ্য মাছেরা (২০১৭) ইত্যাদি। পু
রস্কার : কবিরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার ও দৌড় সাহিত্য সম্মান, নতুন গতি সাহিত্য পুরস্কার, আলোক সরকার পুরস্কার ইত্যাদি ।