You are currently viewing শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা। আবদুর রাজ্জাক এর গুচ্ছ কবিতা

শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা। আবদুর রাজ্জাক এর গুচ্ছ কবিতা

আবদুর রাজ্জাক এর গুচ্ছ কবিতা

আবদুর রাজ্জাক এর গুচ্ছ কবিতা

 

নিঃশব্দ হাসির পিছনে কোনো বানিজ্য ছিলো না                  

তুমি বললে: ‘আমি তো তোমাকে দেখি না!’

তবলায় চাটি মেরে, মৃদঙ্গে মৃদু আঙুল ছুঁয়ে পাখিদের নাচালে,

কুকুর কিংবা বানরের ভাষা তুড়ি মেরে আকাশে উড়িয়ে—

সিটি দিয়ে বললাম: তাই!

 

জালি কাবাব, টগবগে রুটি, এর মধ্যে যথেষ্ট বৃষ্টি ঝড়িয়েছিলে,

আমার ঝুলিতে একটি কয়েনও ছিলো না।

আমি সারিন্দা বাজিয়ে বড় হয়ে উঠেছি, খড়ের গাদায় ঘুমিয়ে

রাত কাটিয়ে দিয়েছি।

 

কাগজের নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তোমার রিসোর্ট আমাকে

আত্মস্থ করেছে, ভালো কিছু করো,

গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে তাল পাখা বানাও,

দেয়ালে রং করো আর সাগর সেঁচে মুক্তো আনো, মুক্তো বেঁেচ

প্রিয়ার জন্য সুঁই সুতো কেনো।

 

সে তোমার জন্য রুমাল সেলাবে, আর—আর সেই রুমাল

উড়াবে ধাবমান দিনের মধ্য প্রহরে। ‘মনে রেখো’ লেখা রুমাল

বর্তমান তাপমাত্রার অনেক নিচে নেমে তোমাকে পরম

আনন্দশীৎকারে শান্তি দেবে।

‘ধ্যানমুদ্রার কলরব’ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি থেকে                                        

ক্ষত বিক্ষত হিমালয় ঘুমিয়ে রয়েছে বুকের ভিতরে                          

দুষ্টেরা একটি খণ্ড পাথর ছুঁড়েছিলো আমাকে, অন্ধকারের

ফাঁক গলিয়ে পাথর খণ্ডটি আমাকে মৃত্যুর দরোজায় নিয়ে যায়,

 

নিদ্রায় ছিলাম, পাথরের আঘাত আমাকে অস্বস্তির হাহাকার

থেকে মুক্তি দিলেও, আমি পান করি মৃত্যুর বিষাদ,

এরকম মৃত্যু কখনও কামনা ছিলো না, আর ওই পাথরের

আঘাত আমাকে চুড়ান্ত কষ্ট দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো,

 

তুমি পাথর প্রবাহের আঘাতে নিথর হলে

ক্ষত বিক্ষত হিমালয় ঘুমিয়ে পড়ে বত্রিশ প্রবাহের সিঁড়িতে।

তারপরও তোমার ছায়ার ঐতিহাসিক অনুতাপ থেকে যায়,

আমরা সেসব খুব যতেœ রেখে দিয়েছি,

তোমার অপরিসীম ভালোবাসা রেখেছি হীরের কৌটোয়,

এটুকু আমরা কাউকেই দেবো না।

 

স্বপ্ন হারানো কাল অধীর হয়েছে, খুনীদের ঈর্ষা বারবার

আক্রমণ করেছে, বারবার আমাদের রপ্তনিদ্রা অন্তর্ধান হয়েছে।

বিপন্ন বোধের আগুন সারাক্ষণ জ¦লছে ভেতরে-বাইরে।

 

একটি মাত্র হীরক গোধূলি ব্যতীত আর কোনো কিছু দেয়া

তোমাকে সম্ভব হয়নি।

 

 

‘ধ্যানমুদ্রার কলরব’ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি থেকে    

 

 

 

আবদুর রাজ্জাক। ক্যারিয়ার জীবন খুব রঙিন নয়। ‘দৈনিক করতোয়া-এর সাহিত্য সম্পাদক, সাপ্তাহিক ‘বর্তমান-এর ঢাকা ব্যুরো চিফও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। অনিয়মিত কবিতা বিষয়ক সাহিত্য পত্রিকা ‘শতবর্ষী’  (১৯৮২-৯২)এর পরে ‘বহুমাত্রিক’ কবিতা বিষয়ক দ্বিতীয় পত্রিকার সম্পাদনা। বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট চৌদ্দটি সংখ্যা (চলবে)। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: রাই সরিষার কাল(২০২২),  মোম প্রতিভার তরবারি (২০২৪)                                                 

আবদুর রাজ্জাক
কবি

Leave a Reply