You are currently viewing শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা-২০২৪। গল্প: নিরাশার পাখি-অরুণ বর্মন

শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা-২০২৪। গল্প: নিরাশার পাখি-অরুণ বর্মন

শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা-২০২৪

গল্প: নিরাশার পাখি
অরুণ বর্মন

গল্প:

নিরাশার পাখি

অরুণ বর্মন 

 

সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ  পাড়াময় হঠাৎ চাউর হলো পাড়ার সন্তোষ বাড়ৈ ওরফে সন্তুর ছোট মেয়ে তনু গলায় দড়ি দিয়েছে। সবাই জানে তনু এ পাড়ার মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী মেয়ে। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ছোটাছুটি করছে। এখবর শুনে সবাই হাহুতাশ করতে করতে ছুটে গেলো সন্তুর বাড়ি। যেয়ে দেখলো মারা গেছে, লাশ নামিয়ে একটা শাড়ি দিয়ে ঢেকে উঠোনে টানটান শোয়ায়ে রাখা হয়েছে। চারিদিকে কান্নার রোল। এরওর মুখে-মুখে শুনে যা জানা গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আজ রেজাল্ট বেরিয়েছে। ওর চান্স হয়নি তাই গলায় দড়ি দিয়েছে। সবার মুখে মুখে একটাই কথা কী আশ্চর্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হলো না তাই আত্মহত্যা করতে হবে? অন্য আর বিশ্ববিদ্যালয় নেই?

সন্তুর স্ত্রী রমা কেঁদে গড়াগড়ি যাচ্ছে। আত্মীয় স্বজন যারা আসছে, মরা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে আর প্রলাপ বকছে।

তবে সন্তু একেবার থ মেরে গেছে। কাঁদছেও না, হাহুতাশও করছে না, কারও সাথে কথাও বলছে না। চোখের পলক পর্যন্ত পড়ছে না। যেন একটা স্টাচু।  একেবার ভম্বলদাস। ঘরের পিলারটাতে হেলান দিয়ে দম মেরে বসে আছে। সকলের শত চেষ্টাতেও কোনো সাড়া দিচ্ছে না্। কষ্টে মেয়ের মুখও দেখিনি।

বড় মেয়ে অনু ঢাকায় পড়াশোনা করে। তাকে খবর দেওয়া হলো। আসতে রাত বারোটা নাগাদ বাজতে পারে। ও আসলে লাশ মাটি চাপা দেওয়া হবে।। ততক্ষণে সব পুলিশি ঝামেলাও মেটানো হলো। সুতরাং অনু আসার সাথে সাথে রাত বারোটার পরপরই সবাই লাশ ঘাড়ে করে শশ্মান অভিমুখে রওনা দিলো। লাশের পিছন পিছন স্বজনের গগন বিদারী কান্নার চিৎকার কিন্তু সন্তু লাশের পিছনে রোবটের মতো হেঁটে চলছে।

লাশ যথানিয়মে কবর দেওয়া হলো।

বাড়ি ফিরে রমা এবং অনুকে থামানো যাচ্ছে না। থামানো যাওয়ার কথাও নয়। এতো বড় মেয়ে। হাতে করে মা-বাবা মানুষ করেছে, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করিয়েছে। আদর স্নেহ যত্ন দিয়ে বুকে আগলে বড় করেছে। সেই মেয়ে যদি এইভাবে মারা যায় তবে কার মাথায় ঠিক থাকে?

তবে সন্তু কিন্তু তেমনি থ মেরে আছে। সবাই বলা কওয়া করছে সন্তুকে যেভাবে হোক কাঁদাও, কথা বলাও নইলে আরেক বিপদ ঘটে যাবে। কিন্তু কারও কোনো চেষ্টায় কাজ হলো না। অধিক রাতে যে যার মতো বাড়ি চলে গেলো।

পরদিন সকালে থেকে তনুর বন্ধু বান্ধবীরা, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে এসেই চলেছে। সমবেদনা জানাচ্ছে, কত সান্তনামূলক কথা বলছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! রমা ও অনু কাঁদতে কাঁদতে ফিট হয়ে যাচ্ছে। আর সন্তুর সেই একই অবস্থা। কারও সান্তনাই তাকে মুখ খোলাতে পারছে না।  রমা ও অনুর অবস্থা এতই খারাপ যে, সন্তুর প্রতি তাদের নজর দেওয়ারও সময় নেই।

বাড়িময় যেন শ্মশানপুরিতে পরিনত হয়েছে। তিনটে মানুষের নাওয়া খাওয়া ঘুম সব বরবাদ। শুধুই উন্মাদ প্রলাপ আর কান্নার শব্দ। সন্তু তেমনি নির্বিকার। এভাবেই কেটে গেল সেদিন।

রাতে মা-মেয়ে এক ঘরে আর সন্তু একা এক ঘরে। সন্তুর মতলব বোঝা দায়। দিনের আলো থাকতেই কাছে নিয়ে রেখেছে একটা কোদাল, একটা মোমবাতি ও একটা ম্যাচ।

সম্ভবত সে রাত ছিল অমাবশ্যার দুই-এক দিন আগের। চারদিকে নিকষ কালো অন্ধকার।

গভীর রাতে সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। সন্তু কোদালটা ঘাড়ে নিয়ে হাতে মোমবাতি ও ম্যাচটা নিয়ে  বেরিয়ে পড়লো পথে। ধীর পায়ে হেঁটে সোজা চলে গেল তনুর কবরে।

চারিদিকে ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুনগুন শব্দ, কুকুর আর শিয়ালের দুএকটা ডাক ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। সন্তু কবরের কাছে যেয়ে ঝপঝপ করে কোপাতে শুরু করলো। কবরের উপরের আলগা মাটি পরিষ্কার করে ফেললো। তারপর বাশেঁর চালি তুলে ফেললো। কবরের মধ্যে নামলো। ম্যাচটাতে সাঁৎ করে এক টোকা দিয়ে মোমবাতিটা জ্বালালো।

তারপর—

সে কে নিদারুন দৃশ্য। তার চোখ যেয়ে ঠিকরে পড়লো সবচেয়ে আদরের ধন, পরাণের পরাণ মেয়ের মুখের উপর। আর সহ্য করতে পারলো না। হাউমাউ করে কেঁদে মুখের উপর আছড়ে পড়লো।

এই প্রথম সে মরা মেয়ের মুখ দেখলো।

একি! অতল মাটির গহিনে শুয়ে থাকা সেই ছোট্ট সোনামুখ, গুলুগুলু চোখ সোনার প্রতিমা সকলি তেমনি আছে। শুধু প্রাণভোমরাটা চলে গেছে।

এই প্রথম সে কাঁদলো। তার কান্নায় আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হলো। যেন স্রষ্টার আসনও টলে উঠলো।

লাশে ততক্ষণে পচন শুরু হয়েছে। বিকট পঁচা গন্ধ বেরুচ্ছে। কিন্তু সে গন্ধ সন্তুর নাককে স্পর্শ করতে পারলো না। ঐ অবস্থায়ই মেয়ের মুখে মুখ ঠেকিয়ে পাগলের মতো প্রলাপ বকে গেলো।

বল্ বল্ মা কেনরে তুই এমন কাজ করলি? তুই তো আমার প্রাণ ছিলি রে। আমার সারাদিনের জপের মালা ছিলি তুই। বল্ তুই কেন একাজ করলি? আমি আর তোর মা তোকে ছেড়া কেমন করে বাঁচবরে।

তুই একাজ করার আগে তোর মা-বাবার কথা একটুও ভাবলি না। তারা কিভাবে জীবন কাটাবে? এমন কি হলো যে তোকে মরতেই হলো। আজ আমার সব প্রশ্নের জবাব তোকে দিতেই হবে। নইলে আমিও তোর সাথে এই কবরেই থেকে যাব। সন্তু যেন আজ উন্মাদ হয়ে গেছে।

মেয়ের পঁচাগলা লাশকে জড়িয়ে পাগলের মতো স্মৃচিারণ করে চলেছে- আমি তোর জন্য কি না করেছি। তোর পছন্দের কোনো জিনিস এনে দিতে আমি পিছপা হইনি। তোকে ঘাড়ে করেই কেটেছে আমার যৌবনের উত্তাল দিনগুলে। স্কুলে দিয়ে বাইরে বসে থেকেছি ঘন্টার পর ঘন্টা। এ কোচিং থেকে সে কোচিং সারাদিন তোকে নিয়ে দৌড়িয়েছি। তোর মা তোকে ছাড়া এক মুহূর্তও্র থাকতে পারতো না। আর তুই কিনা বাবা-মার ফাকিঁ দিয়ে এমন কাজ করতে পারলি? কেন করলিরে মা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাসনি তো কি হয়েছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় তো ছিল্। তাতে‌ কি মরতে হবে।

আহা তোর এত সুন্দর মুখটা পচেঁ পচেঁ খসে পড়ছে। তোর সেই দামী লিপিস্টিক মাখা টিয়ে পাখির মতো লাল ঠোঁট পচেঁ যাচ্ছে। তোর  হাতের নখ লম্বা  না রাখার জন্য আমি কত বকেছি। তবু তুই কাটতিস না। কত কত বাহারি নেইল পরতিস। হাতের সেই শখের নখগুলো কিভাবে পচেঁ খসে পড়ছে। যে দেহে দামী পারফিউম ছাড়া ব্যবহার করতিস না। সেই দেহ এখন পঁচা গন্ধ। বল্ তুই এমন কাজ কেন করলি।

সন্তু কবরের মধ্যে মরা মেয়েকে জড়িয়ে উন্মাদের মতো বকছে। এদিকে রাতও ভোরের সংকেত দেওয়া শুরু করেছে। সন্তু আর দেরি  করলো না। কবর আবার পূর্বের মতো ঢেকে দিয়ে বাড়ি চলে গেলো। বলে গেলো আমি আবার আসব। যতদিন আমার প্রশ্নের উত্তর না পাবো ততদিন আসতে থাকব।

পরদিন সারাদিন তেমনি থ মেরে বসে রইল।

গভীর রাতে যথারিতী পুর্বের রাতের মতো বেরিয়ে চলে এলো। কবর খুঁড়ে মাটি আলগা করলো। কিন্তু আজ তনুর দেহ থেকে অনেক জায়গার মাংস পচেঁ খসে খসে পড়ে গেছে। ঠোঁট পচেঁ খসে যেয়ে দাঁতগুলো বেরিয়ে গেছে। মাথার চুল ঝরে গেছে। হাত পা স্পর্শ করলেই মাংস খসে পড়ছে। ঐ অবস্থাতেই সন্তু মেয়েকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো। অসহায় পিতার গগনবিদারী কান্নায় চতুর্পাশের অনুপরমানুও যেন বিষন্নতায় মুষড়ে পড়লো। কিন্তু সেদিনও কথা বললো না তনু। ভোরে ভোরে পূর্বের মতোই কবরে মাটি চাপা দিয়ে চলে গেলো।

তৃতীয় দিন গভীর রাতে আবার রওনা হলো। এদিন ছিল সম্ভবত: অমাবস্যার রাত। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। ঐ অবস্থায় সন্তু কবর খুঁড়লো। কবরের ভিতরে গেলো কিন্তু বৃষ্টিতে আজ আর মোমবাতি জ্বালতে পারলো না।

সে কবরের মধ্যে আজ আর পূর্ণাঙ্গ মেয়েকে খুজেঁ পাচ্ছে না। যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানেই থপথপে পঁচা মাংশ। বৃষ্টির জলে তা খসে খসে পড়ছে। সেই পঁচা মাংশে বুক মিলিয়ে সন্তুর উন্মত্ত প্রলাপ, মা আজ তোকে বলতেই হবে তুই এমন কাজ কেন করলি। না হলে আজ আমি এ কবরেই তোর সাথে থেকে যাব। বল্ মা।

বৃষ্টিস্নাত অন্ধকার এরাত যেন বিরহী পিতার শোকার্ত হাহাকারের অগ্নুৎপাত ঘটেছে। সন্তু আজ হিতাহিতজ্ঞানশূন্য। পঁচা গলা লাশের কংকালের উপর মাথা খুঁটছে।

হঠাৎ পিছন থেকে তনুর গলা শুনতে পেলো কি করছো বাবা, আমার কবরে  এসে আমাকে বিরক্ত করছো কেন? আমাকে একটু শান্তিতে ঘুমাতে দাও। কতদিন ভালো করে ঘুমাই নি।

সন্তু স্তম্ভিত কণ্ঠে লাশের উপর মুখ রেখেই বললো, তুই এসেছিস মা? তুই আমার ডাকে এসেছিস! তুই না এলে যে আমিই এখানে জীবন বিসর্জন দিতাম।

-মাএখন বল্ তো  তুই কেন আত্মহত্যা করলি। কি তোর অভিমান ছিলো! নানা লোক তো নানা কথা বলছে। আমার আদরের মা-টা তুই এইভাবে মরতে গেলি কেন? এক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাান্স হয়নি তো কি হয়েছে? আরও তো অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। তাই বলে কি মরেতে হবে? তুই কি শু্ধু তোর নিজের কথাটাই ভাবলি! আমাদের কথা একটুও ভাবলি না। তোর জীবনটা কি শুধু তোর একার ছিলো। তাতে আমাদের কি কোনো অংশীদার ছিলো না? পিতামাতা সন্তানকে ছেড়ে বাঁচতে পারে?

 সন্তু আবার তনুর গলা শুনতে পেলো, বাবা আমার যে এই ছাড়া যে আর কোনো উপায় ছিল না।

বাবা মানুষ কখন আত্মহত্যা করে। যখন তার বাঁচার সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।

 তুমি হয়তো সব জানো না কিন্তু মা জানে।

আমি শুধু তোমাদের ঐ জানা কারণে মরিনি বাবা, এর পিছনে আরও যে অনেক বড় কারণ ছিল। আজ তোমাকে সব বলছি শোনো।

তোমরা আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বন্ধুদের উপর বিশ্বাস করে একা ছেড়ে দিয়েছিলে। কিন্তু আমাদের তারুন্যের উচ্ছ্বাস সেদিন তোমাদের সে বিশ্বাসকে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে দিয়েছিলো। আমার বয়ফ্রেন্ড রণো আর আমি দুজনের ইচ্ছাতেই একরাত হোটেলের এক রুমে ভাইেবান পরিচয়ে একসংগে ছিলাম। সেখানেই আমাদের অন্তরঙ্গতার চরম মুহূর্তের একটা রাত পার হয়। তারপর থেকে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।

বেশ কিছুদিন পরে মা বিষয়টা ঠিক পেয়ে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ডাক্তার জানায় আমি তিন মাসের অন্ত:সত্তা। এখন আর গর্ভপাত ঘটানোর সুযোগ নেই। তাহলে আমার জীবন সংশয় হতে পারে। মা শুনে মনের দু:খে গালি দিয়ে আমাকে মরে যেতে বলে। বলে তোর ঐ মুখ  আমি আর যেন আর কোনোদিন না দেখি।

আমি রণোকে বিষয়টা জানাই। আমাকে বিয়ে করতে বলি। কিন্তু রণো আমতা আমতা করতে থাকে। আমাকে বলে অন্যভাবে বিষয়টা ম্যানেজ কর্ । আমার পক্ষে এই মূহুর্তে কিছু করা সম্ভব নয়। পরে এড়িয়ে যায়, সব অস্বীকার করে।   

এ অবস্থায় আমার মরা ছাড়া  আর কি করার ছিলো বলো বাবা?  ফোনে রণো যখন আমাকে  বললো, তোর  পেটের দায় তোর । আমাকে ওর ভিতর জড়াবি না। সে রাতে তোর হুঁশ ছিলো না?  তোর আর আমার মধ্যে আর কোনো সম্পর্ক নেই। তখন আমি আর সহ্য করতে পারিনি। মনের কষ্টে ঘরে যেয়ে ফ্যানে শাড়ি বেঁধে ঝুলে পড়ি।

মেয়ের কথা শুনে সন্তুর গা মাথা ঝিনঝিন করে উঠলো। যেন সব ঘোর ভেঙে গেল।

চেঁচিয়ে বলে উঠলো ছি: ছি; ছি: একি জঘন্য কাজ করেছিস তুই। এসব করতে তোর বিবেকে একটুও বালো না।  তুই মরে ভালো কাজ করেছিস রে। বেঁচে থাকতে আমি যদি এসব শুনতাম তোরে বাড়িয়েই মেরে ফেলতাম।

-বাবা আমি সেদিন ভুল করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিও।

সন্তু মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠে বললো, তোকে  আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তুই একটা পাপিষ্ট, নরাধম। তুই দুর হ আমার সামনে থেকে। তোর কবরে আমি থু থু দিলাম। থু! থু!।  আমি এ কি শুনলাম! এর আগে আমার কানদুটো কালা হয়ে গেলো না কেন? বলেই পিছন ফিরে দেখে কোথাও কেউ নেই। শুধু একটা কালো কুকুর বসে ঘেউ ঘেউ করছে। কিছুক্ষণ পর সেই কুকুরটা যেন একটা বিকট রূপ ধরে আঁধারের সাথে মিলিয়ে গেলো।

সেই থেকে সন্তুরও মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গেলো।  সারাদিন পাগল মতো ঘুরে বেড়ায় আর শুধু একটাই কথা বলে ছি: তুই এমন কাজ করতে পারলি!

 

 

অরুণ বর্মন

৮৪৯/৫ শেখহাটি (দক্ষিণ পাড়া)

ডাক: শিক্ষাবোর্ড, সদর, যশোর।

কর্মস্থলের ঠিকানা: সহকারী অধ্যাপক

আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজ, আমদাবাদ বাজার, সদর যশোর।

ই-মেইল:arunbarmon@gmail.com

Leave a Reply