শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা-২০২৪
ছড়ার হাট
শব্দকুঞ্জ ঈদসংখ্যা-২০২৪
ছড়ার হাট
দুটি ছড়া
রথীন পার্থ মণ্ডল
ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে ওই,
রোজা শেষে খুশির দিনে
তোমার দেখা কই?
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে আজ,
খুশির দিনে দুখের দিনে
রেখো মায়ের লাজ।
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে ওই,
ভায়ের বাঁধন রাখতে পারে
তেমন মানুষ কই?
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে আজ,
রক্ত হোলির খেলা ছেড়ে
প্রেমের রংয়ে সাজ।
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
আসুক ফিরে প্রাণ,
সবার প্রতি বাড়ুক মনে
ভালোবাসার টান।
ঈদের খুশি
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে ওই,
খুশির মাঝে পরব আসে
তোমার দেখা কই?
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে আজ,
চাওয়া পাওয়া দেওয়া নেওয়ায়
সাজো নতুন সাজ।
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঈদ এসেছে ওই,
হিংসা ভুলি দ্বেষ ভুলি
আঁধার ঘুচুক আজ।
শশীভূষণ বোস রোড
রাধানগর পাড়া
(পূর্ব বর্ধমান ,পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত)
প্রকৃতির রঙ কালো
অবিনাশ ব্যানার্জী
মুকুল ধরেছে শাখায় শাখায়
খুশিতে প্রকৃতি হাসে
ফাগুন ছোঁয়ায় ঝরছে পাতা
দেখবে চৈত্র মাসে।
পড়ছে গরম ঘুরছে পাখা
ঝরছে সবার ঘাম
রাস্তাঘাটে পুড়বে সবাই
নেই মানুষের দাম।
শুকিয়ে যাবে চাষের জমি
তৃষ্ণায় ফাটবে ছাতি
পুকুরের জল যাবেই উবে
তবুও উৎসবে মাতি।
সুখের জীবন আঁধারের পথ
মনে হয় সব শূন্য
চোখের জ্যোতি যাচ্ছে কমে
করি নি কী কোনো পুণ্য?
(পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত)
ঈদ
অভিজিৎ দত্ত
ঈদ মানেই আনন্দ
ঈদ মানেই বন্ধুত্ব
ঈদ মানেই সকলকে একসাথে
নিয়ে চলার মন্ত্র।
ঈদ মানেই সম্প্রীতি
ঈদ মানেই প্রেম-প্রীতি
ঈদ মানেই দয়া-মায়া
ঈদ মানে সহানুভূতির ছোঁয়া।
ঈদ মানেই একতা
ঈদ মানেই মায়া-মমতা
ঈদ মানেই সকলের সঙ্গেই
আনন্দকে ভাগ করে নেয়া।
ঈদ আল্লাহর দোয়া
সকলের সুখে,দুঃখে
সকলের পাশে থেকে
সৌভ্রাতৃত্বের ডাক দেয়া।
ঈদ মানেই নয় শুধু কোন
ধর্মীয় উৎসব পালন
এর মাধ্যমেই হয় আমাদের
বিবেকের নতূন করে জাগরণ।
(মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
সাহসী দাঁড়কাক
আজিজ উন নেসা
ঐ শিরিষ গাছের মাথায় ছিল
দাঁড়কাকের-ই বাসা,
ঠিক উপর দিয়ে জঙ্গীবিমান
যেন যাচ্ছে উড়ে খাসা।
তাই না দেখে কাক মহাশয়
পিছু নিল তেড়ে ফুড়ে..…
হয়তো বিমান ভয় পেয়েছে,
আসবে না এক্কেবারে !
কোন একদিন ঐ দাঁড়কাকটা
গেল কাছের এক শহরে,
যেথায় পাতিকাকেরই আধিক্য
খুব বেশি চোখে পড়ে।
পাতিকাকরা ডাস্টবিনেরই পাশে
খাচ্ছিল দানা খুঁটিয়ে,
দাঁড়কাককে দেখে, ওমনি তারা
পা সব নেয় সিঁটিয়ে।
যেন অব্যক্ত অলিখিত নিয়ম
ভাসে নিশ্চুপে বাতাসে,
আপাত দুর্বলেরা নোয়ায় মাথা
বিনা বাধায় আয়েসে।।
(কোলকাতা, ভারত)
চাঁদ উঠেছে
ইমরান খান রাজ
আকাশ পানে চাঁদ উঠেছে
ঝিলিমিলি হাসিতে
রোজা শেষে ঈদ এসেছে
খোকাখুকুর খুশিতে।
নতুন জামা, নতুন টুপি
বাহারি সব খাবার
ঈদের নামাজ শেষ করেই
সব করেছে সাবাড়।
ধনী-গরীব নাই ভেদাভেদ
আমার সোনার দেশে
ঈদের খুশি ভাগাভাগি করি
সবাই মিলেমিশে।
(দোহার, ঢাকা, বাংলাদেশ)
সবার জন্য ঈদ
গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
সবার জন্য ঈদ এসেছে
তাইতো সবাই খুশি,
ধনী গরীব সকলের মুখে
ফুটছে ঈদের হাসি।
ভাগাভাগি করি আনন্দ
ছোট বড় যে মিলে,
সওয়াব তুমি পাবে ভাই
গরীব দুখীকে দিলে।
একটু সুখ বিলিয়ে দাও
পথ শিশুদের মাঝে,
নিজের খাবার তুলে দাও
এতিম দুঃখী খুঁজে।
ঈদে তোমার কতো জামা
কতোই ঘরে খাবার,
তাদের ও’যে হক রয়েছে
একটু কিছু পাবার।
(বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাংলাদেশ)
ঈদ মানে তো খুশির জোয়ার
জয়শ্রী সরকার
ঈদ মানে তো খুশির জোয়ার
একফালি ওই চাঁদে
মনখুশিতে পড়ছে ধরা
আবেশ মাখা ফাঁদে !
চতুর্দিকে প্রাণ মাতানো
ঈদের সুবাস ভাসে
মনমহুয়ায় আতর ঢেলে
সবাই সবার পাশে !
লাচ্ছি-সিমাই-ফিরনি-পায়েস
নামাজ পড়ার শেষে
আয়েস করে খাবে সবাই
মিষ্টি-মধুর হেসে !
ঈদ মানে তো উদার আকাশ
দূষণমুক্ত বায়ু
মনের সাথে মনের মিলন
সবার বাড়ুক আয়ু !
তাই বলি কী, একসাথে সব
এসো সবাই হেসে
হৃদয়দেউল উজাড় করে
থাকবো ভালোবেসে!
( পশ্চিম মেদিনীপুর, ভারত)
খুশির ঈদ
তপন মাইতি
আকাশের চাঁদ দেয় যে আভাস
শাবান মাসের পরে
একফালি চাঁদ করছে ইঙ্গিত
পবিত্র ঈদ ঘরে।
মনের মধ্যে খুশির জোয়ার
আকাশে একতারা
বলল আমায় উৎসব এল
মনে খুশির সাড়া।
সেহরি ইফতার শেষের পর
খুশির ঈদ যে আসে
মনের মধ্যে কী আনন্দ…
অসম্ভব সুখ ভাসে।
আমরা সবাই মিলেমিশে
ঈদ উদযাপন করি
ঈদ মোবারক বলছে সবাই
মেলবন্ধন তাই গড়ি।
( চব্বিশ পরগনা, ভারত)
ঈদের খুশি
মুহাম্মাদ তালহা মাহমুদ
রোজার শেষে উঠলো হেসে
বাঁকা চাঁদের ফালি,
ঘরে ঘরে মাখামাখি
সুখের রঙিন কালি।
টোকাই ছেলে সে-ও হাসে
চাঁদের সাথে সাথে,
কাল সকালে ফিন্নি-পায়েস
দিও মা তার পাতে।
তার ঘরে তো ভীষণ অভাব
নূনে পান্তা ফুরায়,
পথশিশুরা ঈদের দিনও
দুঃখ-দহন কুড়ায়।
ভোরের পাখি সে-ও কাঁদে
পথশিশুদের দুঃখে,
ঈদের খুশি সজ্জিত হোক
তাদের প্রানের সুখে
(ডেমরা, ঢাকা, বাংলাদেশ)
ঈদ এসেছে খুশীর ঈদ
তূয়া নূর
আকাশ জুড়ে আজকে দেখো
কালো মেঘের ফাঁদ,
ঢেকে আছে তার আড়ালে
নতুন ঈদের চাঁদ।
নেইতো তেমন কেনাকাটা
নেইতো তেমন ভিড়,
মা রাঁধবে আজ সেমাই পায়েশ
সংগে গুড়ের ক্ষীর।
নতুন জামা নাইবা পেলে
আঁধার কেন মুখ?
অল্প পেয়ে খুশী হওয়ায়
অনেক বেশী সুখ।
(ঢাকা, বাংলাদেশ)
খুশির ঈদ
দীনেশ সরকার
একটা মাসের কৃচ্ছ্রসাধন
রোজা রাখার পরে
ঈদের চাঁদটি দেখা গেলেই
খুশিতে ঘর ভরে।
এক ফালি ওই রূপালি চাঁদ
আকাশে দেয় উঁকি
বাঁধভাঙা এক দিলখুশিতে
মাতে খোকা-খুকি।
ধনী-গরিব সবার গায়েই
নতুন পোশাক ওঠে
লাচ্ছি-সেমাই ঘরে ঘরে
হৃদয় কুসুম ফোটে।
ঈদের নামাজ পড়ে সবাই
ঈদগাহেরই মাঠে
আলিঙ্গন আর ঈদ মোবারক
খুশিতে দিন কাটে।
(পশ্চিম মেদিনীপুর, ভারত)
খুশির ঈদ
দীপ রায়
একটা মাস ঐ রোজার পরে
চাঁদটা দেখা দিলে,
ঈদের হাওয়া ছড়ায় খুশি
নদী খালে বিলে।
কে বা বড়ো কে বা ছোটো
যায়না কিছুই বোঝা,
নতুন পোশাক পরে সবাই
লুটছে ঈদের মজা।
সব ভেদাভেদ বিভেদ ভুলে
ঝরছে মুখে হাসি,
কোলাকুলির চলছে খেলা
বাজছে খুশির বাঁশি।
ফিরনি সেমাই মাংস পোলাও
সবার ঘরে ঘরে,
ধনীরা আজ গরীবদের ই
হাতটা আছে ধরে।
(পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
কলা তলায়
দীপক বসু
কলা তলায়
বেলের চারা।
শুকিয়ে মরে
দারুন খরা।
তপ্ত রোদের
আগুন দেশে।
বৃষ্টি কোথায়
হাসছে বসে!
(যশোর, বাংলাদেশ)
ঈদের খুশি
দীপক রঞ্জন কর
রমজানের মাসের শেষে
উঠবে খুশির চাঁদ,
মহামিলনের আসর সাজবে
ভুলে হিংসা বিবাদ ।
গরিব ধনী একাকার হয়ে
পালনে ঈদের খুশি,
নতুন বস্ত্র নতুন উপহারে
সবার মুখেই হাসি।
কোর্মা পোলাও সেমাই তৈরি
হউক সবার ঘরে ।
ঈদের খুশির আনন্দ যেন
সবার মনেই ধরে।
মিলবে সবাই ঈদগাহ মাঠে
খুশির শুভক্ষণে
‘ঈদ মোবারক’,ভাব বিনিময়
শুভেচ্ছা আলিঙ্গনে।
আদাব,সেলামি দেওয়া-নেওয়া
চলবে সেই রীতি
যার যেটুকু সাধ্য মতে
চলবে বিনিময় প্রীতি।
( ত্রিপুরা, আগরতলা, ভারত )
রক্তের রঙ লাল
দেবেশ প্রামাণিক
গড মানে জান কি বন্ধু, রাম মানে জান?
রহিম মানে কি? অভিধান টা আন।
‘গুড মর্নিং’, ‘নমস্তে’, কিংবা ‘আলেকম্ সেলাম’,
কোনটায় আছে ভাই বেশী আন্তরিকতার দাম?
একদিনতো ছিলিরে ভাই জঙ্গলে আর বনে,
আজ নাহয় হয়েছিস সভ্য, কালের বিবর্তনে।
সত্যি করে বলতো, দেখেছে কে রামের আঁতুড় ঘর,
মহম্মদ খেত সিন্নী কোন থালাটার পর?
পানিকি মেটায়না তৃষ্ঞা, না মেটায়না জল?
ওয়াটারে কি পাবেনা বন্ধু একই চেষ্ঠার ফল?
মানুষের জন্য ধর্মরে ভাই, ধর্মের জন্য নয় মানুষ,
প্রকৃতির টানে যাবেরে ফেঁসে সম্প্রদায়ের ফানুস।
মানুষের পাশে দাঁড়ায় মানুষ, মানুষই করে দেখভাল,
দেখিসরে ভাই সব মানুষেরই রক্তের রঙ লাল।
(পূর্বমেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
মাগনা পেলে
বদরুল বোরহান
মাগনা পেলে কেউবা আছে
বিষ খেতেও রাজী,
এ ব্যপারে নিঃসন্দেহে
ধরতে পারি বাজি।
মাগনা পেলে হাত পেতে নেয়
হালুয়া-রুটি-ভাজি,
ওমরা করে, নামের আগে
কেউবা লেখে হাজী।
মাগনা পেলে উপরি নিতে
এক পায়ে কেউ খাড়া,
আসুক তাতে ঝঞ্জা ও ঝড়
আসুক যত ফাঁড়া।
(আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ)
ফিলিস্তিনির ঈদ
বাসুদেব সরকার
ঈদ মানে তো মহানন্দ
ঈদে সবে খুশি,
খুশির দিনে তবু মনে
দুঃখ-ব্যথা পুষি।
খুশির দিনেও খুশি নেই আজ
ফিলিস্তিনির মনে,
বাস্তুহারা, খাবার তো নেই
হারছে জীবন রণে।
ইসরায়েলের আগ্রাসনের
শিকার হয়ে তারা,
রোগে শোকে পঙ্গু হয়ে
হচ্ছে স্বজনহারা।
শোকের মাঝে খুশির বার্তা
পৌঁছবে কেমন করে,
অনুভূতি নেই তাই ঈদে
অশ্রু শুধু ঝরে।
(হাইমচর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ)
খুশীর ঈদ
বীরেন্দ্র নাথ মহাপাত্র
আজ খুশীর ঈদ
মন প্রান সব ভরাই,
এলো বলে ঈদ – উল – ফিতর
আনুক বয়ে গ্লানিমা মুক্ত ভিতর ।
মহান পবিত্র দ্বিতীয়া তিথির দিন
এক ফালি চাঁদ, উদয়ে ক্ষীণ ,
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিন
সালাম,শুভেচ্ছা সবাই নিন ।
খুশী ভরা ঈদের দিনে
তুলব ভরে সুধা তানে,
আজের দিনে খুশীর নামাজ পড়ব
ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে চলব ।
(পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
ঈদের চাঁদ উঠিছে
সুশান্ত কুমার দে
নতুন রঙের চাঁদ উঠেছে
দূর পাহাড়ে ঘেঁষে
নীল আকাশের দেশে,
কে দেখেছে, কে দেখেছে
দীঘির জলে ভেসে
শাপলা ওঠে হেসে?
খুকুমণি চাঁদের পানে
মন ছুটে যায় খুশির গানে,
চাঁদ উঠেছে, কে ছুটেছে
খুকুমণি সেই, ঈদের খুশিতেই।
ঈদ এসেছে , ঈদ এসেছে
আর বলেছে কে?
খাঁচার ভিতর টিয়ে পাখি
মাথা নাড়ায় সে।
মেহেদী মেখে দুহাত এঁকে
খুকুমণি যে, আর খুশিতে কে?
ঈদের নামাজ আদায় করতে
খোকা চলেছে, সঙ্গে তার কে
টুপি,পাঞ্জাবি পরে বাবা
পিছু ধরেছে।
( সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ)
গরিবের ঈদ জামা
সুজন দাশ
ঈদের জামা কিনতে খুকু
বায়না ধরে মায়ের কাছে ,
মা জানে তার কষ্টটুকু
বুকের কোথায় আটকে আছে!
নুন আনতে যার পান্তা ফুরায়
তার সাজে না ঈদের জামা,
বাজার গেলে মাথা ঘুরায়
বলছে মা তুই বায়না থামা!
ঈদ হলো মা বড়লোকের
গরিব লোকের শুধুই রোজা,
বরং এ মাস কষ্ট শোকের
দেয় চাপিয়ে দামের বোঝা!
আহার জোগান ফরজ আগে
তারপরে তো কিনবি জামা,
বাপটি তোদের অচল ঘরে
জামা কেনার ভূতটি নামা !
যা বুঝার তা বুঝলো খুকু
বাস্তবতার আঙ্গুল চোখে,
পাল্টে ফেলে ভাবনাটুকু
কষ্ট বিলায় জ্ঞান যে লোকে!
(নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র)
ঈদের দিনে
শক্তিপ্রসাদ ঘোষ
ঈদ এলেই খুশির হাওয়া
খুশি খুশি চারিদিক
ঈদ এলেই সবুজ সবুজ
করছে সব চিকমিক
ঈদ এলেই মন্ডা মিঠাই
নতুন কাপড় জামা
ঈদ এলেই ঘুরতে আসে
আমার রমজান মামা
ঈদের দিনে ভাই ভাই
কোলাকুলি করা চাই
ধনী,গরিব ভাই বোন
উৎসবে সবাই আপন
ঈদের দিনে উঁচু নিচু
ভেদাভেদ নাই নাই।
(কোচবিহার, ভারত)
প্রকৃতির রঙ কালো
অবিনাশ ব্যানার্জী
মুকুল ধরেছে শাখায় শাখায়
খুশিতে প্রকৃতি হাসে
ফাগুন ছোঁয়ায় ঝরছে পাতা
দেখবে চৈত্র মাসে।
পড়ছে গরম ঘুরছে পাখা
ঝরছে সবার ঘাম
রাস্তাঘাটে পুড়বে সবাই
নেই মানুষের দাম।
শুকিয়ে যাবে চাষের জমি
তৃষ্ণায় ফাটবে ছাতি
পুকুরের জল যাবেই উবে
তবুও উৎসবে মাতি।
সুখের জীবন আঁধারের পথ
মনে হয় সব শূন্য
চোখের জ্যোতি যাচ্ছে কমে
করি নি কী কোনো পুণ্য?
(পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)