You are currently viewing অণুগল্প: রূপকথা- ঋজু রেজওয়ান

অণুগল্প: রূপকথা- ঋজু রেজওয়ান

শব্দকুঞ্জ কাশবন সংখ্যা

অণুগল্প: রূপকথা
ঋজু রেজওয়ান

বিপ্লবের গল্প

রূপকথা

ঋজু রেজওয়ান

ক্যাম্প ২২… [আয়নাঘর] আজ ও গতকাল বা কখনও-ই

না, বন্দি ছিল ৭টি নক্ষত্র। অপরাধ ছাড়াই তারাও দোষী; কারণ হয়ত মানুষ-ই হতে চেয়েছিল।
দিনের পর দিন বন্দিরা যত না সচল ছিলেন, ক্ষয় হওয়া স্বাধীনতার জন্য এবং তার’চে বেশি
হাসত রক্ষীরাও! আর, পিটিয়ে ভাতের থালা ফেলে দিত। ফাইনালি, এক বন্ধুসাংবাদিক বন্দি সবাইকে
বলল, নিজেকে শিক্ষিত করে… হারুনকেই অনুকরণ করব। এটাই স্বাধীনতার পথ; অনুসরণ করো আমাকেই।
সঙ্গেসঙ্গে মৌলভীসাব (২য় বন্দি) বলল, জাহান্নাম হবে! তার’চে আমার খোদার নাম নাও, যেমন
করে ইউনুসকে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করেছিলেন। তাই, মুক্ত হতে একত্রিত হোন এবং আমাকে
অনুসরণ করুন। তারপর ব্যবসায়ীভাই (৩য় বন্দি) বলল, ভুল! আমি যে সুরঙ্গ করছি, নিঃশব্দে
আসুন এবং আমাকেই অনুসরণ করুন। উহু, উহু, মাননীয় বিচারক (৪র্থ বন্দি) বললেন, এ কাজ খুবই
ঝুঁকিপূর্ণ। একমাত্র সঠিক পদ্ধতি হলো, নিয়ম ও কানুন মেনে চলা এবং হারুন সাবকে বিরক্ত
না করা। তাই, আমার পিছনে একত্রিত হোন। ‘চোদার টাইম নাই’ ব’লে বিজ্ঞ সুশীল (৫ম বন্দি)
বলল, তারও পথগুলি চিহ্নিত করা। সবাই একসাথে আমার পিছনে থাকুন। চুপ থাকা শ্রমিকবোন
(৬ষ্ঠ বন্দি) বলল, আপনারা সবাই ভুল, আপনারা ঐতিহাসিকভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বৈজ্ঞানিক
পদ্ধতিতে  বিশ্লেষণ  করেননি। আমাদের দীর্ঘ সময়  অপেক্ষা করতে হবে। লোহার  শিকগুলা যখনই ভেতর থেকে ক্ষয় হয়ে সহজে বাঁকানো যাবে।
এবার চিৎকার করে কৃষকভাই (৭ম বন্দি) কেঁদেকেঁদে বলল, আমি নিজেনিজে বের হবোই, হারুন  সাবের ভাতের হোটেল থেকে… এটাই একমাত্র পথ। সবাই
সমস্বরে… চিৎকার করে বলছিল, আসুন এবং আমাকেই অনুসরণ করুন। আমার কাছে পথ আছে, সেটাই  স্বাধীনতার পথ এবং তারা তর্ক করেছিল, আজও করছে…
এখনও তারা কারাগারে আছে, ভয়ে কি সব নক্ষত্র কাঁপছে…

ঋজু রেজওয়ান
কবি ও গদ্যকার

Leave a Reply