Bilingual Presentation
By Shikdar Mohammed Kibriah
Bilingual Presentation of Shikdar Mohammed Kibriah
শিকদার মুহাম্মদ কিব্রিয়াহ-এর একগুচ্ছ দ্বিভাষিক কবিতা
এক.
বাক্সভর্তি বয়স এবং স্ট্যাচু অব লিবার্টি
মধ্যবয়সী মানুষের দৃশ্যমান অবকাঠামোয় চিরচেনা অস্তিত্বের চেতনাকে বয়সের কাঠামোয়
বাক্সবন্দি করে রাখতে পারি না ;
স্বপ্নের ব্রিকফিল্ডে শুধুই পোড়ে পরাবাস্তব ইচ্ছের ইট
নির্মাণ করে চির বসন্তের কিটো নগরী, পড়ন্ত বিকেল
কফি হাউসে বসে প্রিয় বান্ধবীর সান্নিধ্যে নির্বাক গল্প করা।
কিন্তু তার কুন্ঠিত অবয়বজুড়ে শুধুই পোড়ে নৈরাশ্যের উম-অনিচ্ছুক অনুভবে নেই ইতিবাচক উপলব্ধির প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়টুকুও!
যেন এক সংবিধিবদ্ধ ফ্যাসিস্ট শাসকের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে সে জীবন্ত এক মৃতদেহ কিংবা পেরেকআঁটা এক ব্রোঞ্জের প্রতিমূর্তি,
যার ভেতর থেকে ফেটে-ফেটে পড়ছে সুনামির মত তীব্র প্রতিবাদ।
আমার অন্তরাত্মার ঝাঁপি খুলে বেরিয়ে আসে প্রৌঢ়তার পাপ
আত্মপীড়নে নিক্ষিপ্ত হই ন্যুয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে
উপলব্ধি করি স্বপ্ন দিয়ে মোড়া আমার ইচ্ছের মোড়কটি
পরাজিতের প্রতীক হয়ে পড়ে আছে
স্ট্যাচু অব লিবার্টির পদতলে পড়ে থাকা
অত্যাচারীদের ভেঙ্গেপড়া শিকলের মত।
আমার এই নশ্বর দেহটা বয়সের কাছে পরাজিত
কিন্তু অবিনশ্বর মনটা চিরকাল অপরাজিত যুবকই থেকে যায়।
Box-bond Age and Statue of Liberty
Surreal willing bricks frequently burn in a dreamy brick-field and build a late afternoon at Quito, an evergreen city by the pacific. It’s an excellent time with my darling girlfriend in a coffee house.
But an unwilling air unfurls her hair and makes a pessimist mark on forehead. No sign of positive feeling and favour in her appearance. She is now thought to be a bronze effigy.
Uncovered my sensitive box. Senescence comes out, demonstrates senile sin and keeps standing in a scowl. I have been thrown by self-repression to Liberty Island in New York.
My willing packet full of dreams has been lying down on the pedestal of the Statue; as a symbol of defeat alike broken chain of fascist oppressors.
My wintered body is defeated to the age even if my sensitive evergreen mind remains undefeated youngling forever.
দুই.
জাক দেরিদার বাড়িতে যখন
জাক দেরিদার বাড়িতে অভিবাসী আমার প্রিয় শব্দ’রা বুদ্ধির বাগানে নির্মাণ করে কবিতার কুটির।
শিল্পের শেমিজে ধরে বিকাশের সুগন্ধ চপলা কিশোরীর মতো বেড়ে ওঠে কবিতার স্বোপার্জিত শরীর।
শ্রম-ঘাম আর কামাবেগে শব্দ’রা ছাড়ে আটপৌরে গন্ধ বিকাশমান বয়ঃসন্ধির।
ভাবের বয়ঃসন্ধিতে শব্দের বিন্যাস। স্পষ্ট ঘোরলাগা বিবর্তন। তবুও উত্তর প্রজন্ম প্রত্যক্ষ করে প্রতিভাসের ভেতরে আসলে সত্তারই অধিবাস। যেমন ভাবগত সত্যে হয় বিষয় থেকে বিষয়াতীত শব্দের প্রাকৃত সন্ন্যাস।
নতুন চরে জাগে চেনাঘাস বহুরঙা প্রচ্ছদ ধরে বহিরঙ্গে। ঠিক তেমনি উত্তরাধুনিক খোঁজে বিশ্বমাত্রা আটপৌরে জীবন আর স্থানিক অনুষঙ্গে।
এভাবেই আসে শব্দচাষী অনাবাদী কবিতার দেহাতে। নতুন পথের বাঁকে পুরাতন পথটিই মাড়ায়। প্রবীণ প্রণব ঘোরে বিশ্বায়ন বোধির আঁতাতে। শব্দের স্বাক্ষর সুপ্ত আগামীর গতায়ু বাড়ায়।
কালের আকাল খোঁজে বিস্মৃতির বিদর্ভ নগর। প্রজ্ঞার পুত্র’রা দেখে মহাকাল—শিল্পের প্রহর।
At Derrida’s House
While immigrant in Derrida’s house
My favourite words make a poetic hut
In a sparkle garden.
Having smelled with teenager dress,
Grow up like a kitten girl
And my self-earned words
With exertion, sweat and lust
Release an ordinary scent
Of maturing an adolescent.
A well-marked typical evolution
In categoric juvenile
Creates a classic order.
Post-genesis perceives essence
Existing in the appearance.
As disposed abstract asceticism
Of the words
From objective to subjective i
By natural truth.
Well-known grass breeds
In a newly silted valley
Outing colorful face-view,
While a post modernist quests
A context of world-class standard
In ordinary lifestyle locally review.
A word-cultivator often tries to reach
An uncultivated poetic land
Even if his turning point is nothing
But a pre-historic road to art.
Having ancient embryo in the womb
Of globalised homogeneity,
Regenerates the age of time
In signing words with variety.
Dark modernist looks back
To an oblivious ancient city
Alike Bidarva or Harappa,
Turns into a post modern son
Who is intellectual, and finds
An infinite time of being set
For an absolute meditation.
তিন.
বিরতিহীন বাসে উত্তরাধুনিক গণতন্ত্র
গণতন্ত্র। আধুনিক। এখন উত্তরাধুনিকতার যুগ। একটু-আধটু আধুনিকোত্তর করা আবশ্যক। পশ্চিমা গণতন্ত্র আধুনিকই রয়ে গেছে—একটুও বদলাতে পারে নি! না কানাডা—না উগান্ডা। অতএব, উত্তরাধুনিক গণতন্ত্রের মডেল তারা হতে পারে না। চলুন তৃতীয়বিশ্বে দৃষ্টি দেয়া যাক। চমৎকার নির্বিঘ্ন গণতন্ত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে! একেবারে আমাদের শেরপুরী বিরতিহীন বাসটির মতই সরলমনে চলছে।
লকহীন গেট খোলা। সামনে অপেক্ষমান যাত্রী দু’জন। মহিলাযাত্রী। ট্যারা বামচোখে শূন্য দুটি আসন জ্বলে ওঠে শিকারী বিড়ালের মত। আকস্মিক ব্রেক! নন-স্টপেজে—হুমড়ি খায় বিরতিহীন গতিশীল যাত্রীদেহ—কী হলো! কী হলো! থামালে কেন? দু’মিনিটে কী আর দেরি হবে! মহিলা মানুষ! বিনীত-মানবিক কন্ঠ চালকের।
দাঁড়াও খানিক হোকনা বিরতীহীন—রোদ্দুর মাথায় দাঁড়িয়ে আছে মা-বোন! সমর্থনের অভাব হয় না! মানবতা আগে। দলান্ধ’রা যেমন বলে আগে উন্নয়ন; পরে গণতন্ত্র! ব্যস্ত হেলপার—সরেন ভাই! সরেন। পিছনে যান—মা’বোন আছে না সবার! দারুণ নীতিবাদী মানবিক!
আবার স্টপ নন-স্টপেজে। ট্রাফিক সপ্তাহ। কাগজপত্র তল্লাশি—হয়ত আছে, নয়ত নেই কিংবা কিছু আছে, কিছু নেই। অফিসারের চোখ-রাঙানি—বের কর! জলদি! চালক গুঁজে দেয় কাগজ—কাগজই তো! যা ভাগ! গাড়ি চলে ননস্টপ। সরল মনে।
ননস্টপ গণতন্ত্রে ছোটে স্বদেশ সিদ্ধেশ্বরী।
Postmodern Democracy on non-stop bus
Democracy! It’s modern. So outdated. Now it’s the postmodern age. Let’s be a little bit postmodern. Western democracy has remained modern. Not a few changes at all. Neither Canada nor Uganda. What can be the role model of postmodern democracy? Let’s have a look at the third world. Excellent uninterrupted democracy stirring up in the People’s Republic of Bangladesh! Could be a role model of democracy? Absolutely like our old model town bus. Passengers get in and down nonstop. Have a look at a different scenario. Running a public bus. Nonstop service. Unlocked closed door. Waiting two passengers on the sideway. Female! A quick eyeshot catches two empty seats still. Sudden break in non-stoppage. Stumbled nonstop bodies. What happened! Why stopped! Cried all loudly. “What’s late in just two minutes. Look at the women here!” Audible humble voice from the driver. But isn’t it nonstop service? So what! Motherly women standing in the sun! No lack of supporters. Humanity is the first. How the blind supporters say-Development is the first, next to democracy! Busy helper gets active- move! move please! go back. Don’t we have mother-sister! Wow! Great humanist! Again stopped in non-stoppage. It’s Traffic Week. Papers checking. Highway police browbeats the driver – Take it out! Hurry up! The driver pushes the paper —Yes it’s paper! Move! The bus moves on non-stop. Sounds simple. And democracy speedily runs to achieve a magical postmodern goal.
চার.
মডার্নিজম ও হিজড়া যুবতী
নাসারন্ধ্রে অবচেতনার সুগন্ধি রূমাল। দিব্যি বসে আছে প্রদোষ মডার্নিজম। বিভ্রান্ত, বিক্ষিপ্ত ও বহুগামী কাল।
ইজিচেয়ারে দুলছে এলিট দেহ। নাগরিক নৈরাজ্যের মত অস্থির। মডার্নিজমের সর্বশেষ সংজ্ঞায়নে সংশয়ী মন।
রক্তাক্ত তাজা লাশ। ঝাঁকে ঝাঁকে পোশাকী মানুষ। মৌন মানুষের মিছিল। বিক্ষিপ্ত, বিভ্রান্ত ও হতাশ। ফ্যাসিস্ট গণতন্ত্র। পোস্ট-মডার্ন ক্যাপিটালিজম—প্রলেতারিয়েত নেতা ক্যাসিনোর মালিক।
বিশৃঙ্খল নগর। কাকের কার্ফ্যু। গলিত আবর্জনার স্তুপ।
কালো ধোঁয়ার সন্ত্রাস। সীসাযুক্ত বাতাস।
জনারণ্যে কোমর দোলায় হিজড়া যুবতী। চাঁদা চায়।
বিপন্ন নাগরিক।
ইউরেকা! প্রদোষী মডার্নিজমের সংশয়মুক্ত সংজ্ঞায়নে আমি এখন অদ্ব্যর্থক—মডার্নিজম হিজড়া যুবতী।
Postmeridian Modernism
Anesthetic-scented kerchief is on the nostril.
Fixedly set up modernism at eventide.
Confused, sporadic and polygamous.
Swinging elite figure in easy chair.
Restless alike urban chaos.
Confused to defining
Modernism last.
Blooming bloodied dead body.
Aggressive huge number of dressed men. Long procession of tacit people.
Scattered, confused and frustrated.
Fascist democracy.
Post-modern capitalism
Proletarian leader is now proprietor of casino.
Higgledy-piggledy city
Crow’s chaos
Rotten rubbish.
Bad odour.
Terrorist black smoke
And leaded atmosphere.
Transgenders swing theirr waist.
Demand money. Endangered citizen.
Wow! I’m now settled to define modernism
At eventide and It’s nothing
But an impotent.
পাঁচ.
প্লুটোক্রেট ও প্রলেতারিয়েত
কমরেড! স্মরণ করুন সেইসব দৃশ্যাবলী যেগুলো অভিনীত হয়েছিল প্রলেতারিয়ান মঞ্চে।
সুন্দর আক্রোশ ধরে ক্ষুধার্ত ক্যানভাস রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে। শোষণ-বঞ্চনার আঁচড় কাটে তাত্ত্বিক তুলি রক্তিম রাজনৈতিক ক্যানভাসে। আঁকে অদ্ভূত সাম্যের ল্যান্ডমার্ক। অর্ধেক পৃথিবী জুড়ে জনতা বিপ্লবকাতর।
এ-সবই বিস্মৃতপ্রায় এখন। পুঁজিবাদী বাতাস বরাবরই প্রভাবশালী—অভিজ্ঞতার এ-বস্তুগত সত্যটাকে চতুর চীনারা চিনেছে সবার আগে। ব্র্যান্ড ঠিক রেখে বদলে ফেলেছে বোতলের ভেতরটা—দমন করেছে প্রতিবিপ্লব।
বুঝতে পারে নি বলশেভিকরা। এজন্যে গ্লাসনস্ত পেরোস্ত্রাইকার দরজা খুলে দিয়েও আত্মহত্যা করতে হয়েছে। উপায়ও ছিল না—বার্লিন প্রাচীর ধসিয়ে দিয়েছিল মানুষ খোলা আকাশে নিঃশ্বাস নিতে।
রুমানিয়ার লৌহমানব চসেস্কুকে রাস্তায় টেনে এনেছে মুক্তিকামী মানুষ। পুরো পূর্ব য়্যুরোপ ভোজবাজির মত বদলে যায়—মানুষ সমবন্ঠনের প্রতারণার নামে আর জেলজীবন চায় না—চায় না সর্বাত্মকবাদী রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ।
প্রভুর পতন—লেলিনের মূর্তির অপসারণ
কিছুই টলাতে পারে নি আমাদের বঙ্গদেশীয় মহান বামপন্থী নেতাদের।
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের শীর্ষ খলিফা গেলেন জাতীয় সরকারে; যুক্ত হলেন ঘাস মন্ত্রণালয়ে। আশ্চর্য সুন্দর ঘাসের স্তুপ! আগে কখনো দেখেন নি। পুঁজিবাদী ঘাস। আহা! মন্ত্রী মহোদয় জাবরকাটা শুরু করে দিলেন।
মহান মস্কোপন্থী খান সাহেব সারা জীবনের জড়বাদী সংস্কার ভুলে রাতারাতি ধার্মিক হয়ে গেলেন—হয়ে গেলেন ক্যাসিনোর মালিক। হায় প্রলেতারিয়েত!
Plutocrat and Proletariat
Comrade! remember those scenarios
Played in the proletarian stage.
Attractive furor portraits hungry canvas
In the political landscape.
Theoretic paintbrush scrapes exploitation
And deprivation
On a bloodied political canvas.
Draws strange equilibrium landmarks.
Seen rabble-rousing
In almost half of the world.
All are passed into oblivion.
Plutocrat air often dominates.
The clever china easily identified it at first.
Keeping the brand unchanged, changed inside.
Subdued counterrevolution.
But Bolshevik could not.
Despite opening glasnost perestroika
They had to suicide.
No way.
The Berlin wall broke down.
People took breaths in the open sky.
Romanian ironman were pulled down
To the highway.
Eastern Europe changed like a hokey-pokey.
They are not longed for a jail life
Namely socialism of state capitalism.
Falling Soviet or removing Lenin-statue
Could not waver our prominent leftists.
High-profiled socialist ‘khalifa’ involved
In the national govt. and joined the grass ministry.
Wonderfully stacked grass there
Never seen by him.
Capitalist grass! Wow!
Minister sir started chewing the cud.
Moscow-follower Mr. Khan forgot
His long termed realistic culture,
Became pious overnight and
A casino-proprietor.
Alas proletariat!
SHIKDAR MOHAMMED KIBRIAH, born on 1st July, 1968, in Sylhet, Bangladesh, Masters in philosophy, is a globally published, awarded, translated and featured world renowned poet, essayist, story writer, critic, translator, ambassador and philosopher. He is a bilingual poet and writer writing in Bangla and English. He is a global poetry promoter and literary figure. He is the founder and president of Poetry and Literature World Vision. His published books are so far 19. Among them eight on poetry, eight on prose and three on story. His writings have been translated and published in 40 languages. He has been featured as a global poet many times. He participated in world poetry conferences, fairs, festivals, recitals and literary conclaves. He performed as a jury, discussant and speaker globally. He is an ambassador of world peace, love and humanity appointed by different literary, cultural and poetic forums active globally. His writings are often published in world famous print and electronic magazines, journals, newspapers, websites, blogs, anthologies, tv, radio and channels.
[Designed by Prodigy Published, USA]